☻বুৎপত্তিগত অর্থ: ‘সিফ’ একটি আরবী শব্দ, যার অর্থ “সোজা তরবারি”।
সংজ্ঞা: তীব্র ঘূর্ণিবায়ুর আঘাতে পরপর অনেকগুলি বালিয়াড়ি ভেঙে গেলে বায়ুপ্রবাহের পথে বেশ সংকীর্ণ কিন্তু খুব লম্বা বালিয়াড়ি সৃষ্টি হয় । এইপ্রকার দীর্ঘ অথচ সংকীর্ণ বালিয়াড়িকে সিফ বালিয়াড়ি (Seif Dunes) বলে । ভূমিরূপ বিজ্ঞানী বার্গনল্ড এর নামকরণ করেন ।
উদাঃ অস্ট্রেলিয়ার সিম্পসন মরুভূমিতে সিফ বালিয়াড়ি দেখা যায় ।
বৈশিষ্ট্যঃ সিফ বালিয়াড়ি – র বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ –
ক) স্থায়ী বালিয়াড়ির মধ্যভাগ বায়ুপ্রবাহ কর্তৃক ভেঙে সিফ বালিয়াড়ি সৃষ্টি হয় ।
খ) এরকম বালিয়াড়ির উচ্চতা সাধারণত ১০০-২০০ মিটার, দৈর্ঘ্য ১০০-১৫০ কিমি এবং প্রস্থ এক কিমির মত হয়ে থাকে ।
গ) পরস্পর সমান্তরালভাবে একাধিক সিফ বালিয়াড়ি গড়ে ওঠে ।
ঘ) এগুলি দেখতে শৈলশিরার মত হয় ।
ঙ) এদের শীর্ষভাগ ধাঁরালো করাতের মত ও অগ্রভাগ সূচালো হয় ।
চ) দুটি সিফ বালিয়াড়ির মধ্যবর্তী ফাঁককে করিডোর বলে ।
9 thoughts on “সিফ বালিয়াড়ি (Seif Dunes):”