মস্তক বালিয়াড়ি (Head Dune),পুচ্ছ বালিয়াড়ি (Tail Dune) ও পার্শ্ব বালিয়াড়ি (Lateral Dune):

☻মস্তক বালিয়াড়ি (Head Dune): বায়ুপ্রবাহ তার গতিপথে কোন বাঁধার সম্মুখীন হলে সেই বাঁধার প্রতিবাত অংশে যে বালিয়াড়ি গড়ে ওঠে, তাকে মস্তক বালিয়াড়ি (Head Dune) বলে । 

উদাঃ থর মরুভূমিতে মস্তক বালিয়াড়ি দেখা যায় ।                                                                 

বৈশিষ্ট্যঃ মস্তক বালিয়াড়ি – র বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ –
ক) এরা আকৃতিতে অপেক্ষাকৃত ছোট হয় ।
খ) এরা অনেকটা পাখির ঠোঁটের মত আকৃতিবিশিষ্ট হয় ।


 পুচ্ছ বালিয়াড়ি (Tail Dune): বায়ুপ্রবাহ তার গতিপথে কোন বাঁধার সম্মুখীন হলে সেই বাঁধার পিছনদিকেও অল্প পরিমানে বালি পরিবাহিত হয় এবং তা ঐ স্থানে থিঁতিয়ে পড়ে বালিয়াড়ি সৃষ্টি হলে, তাকে পুচ্ছ বালিয়াড়ি (Tail Dune) বলে ।                                                    

উদাঃ থর মরুভূমিতে পুচ্ছ বালিয়াড়ি দেখা যায় ।                                                          

বৈশিষ্ট্যঃ পুচ্ছ বালিয়াড়ি – র বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ –
ক) 
এরা আকৃতিতে অপেক্ষাকৃত ছোট হয় ।
খ) 
এরা দেখতে স্তূপাকৃতি হয় ।


 ☻পার্শ্ব বালিয়াড়ি (Lateral Dune):বায়ুপ্রবাহ তার প্রবাহপথে বাঁধার সম্মুখীন হলে বাঁধার দু পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয় । এর ফলে বাঁধার দুই পাশে বালি থিঁতিয়ে পড়ে যে বালিয়াড়ি সৃষ্টি হয়,তাকে পার্শ্ব বালিয়াড়ি (Lateral Dune) বলে ।                      

উদাঃ থর মরুভূমিতে পার্শ্ব বালিয়াড়ি দেখা যায় ।                                                                      

বৈশিষ্ট্যঃ পার্শ্ব বালিয়াড়ি – র বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ –
ক) 
এরা আকৃতিতে অপেক্ষাকৃত ছোট হয় ।
খ) 
এরা দেখতে দণ্ডাকৃতি হয় ।

7 thoughts on “মস্তক বালিয়াড়ি (Head Dune),পুচ্ছ বালিয়াড়ি (Tail Dune) ও পার্শ্ব বালিয়াড়ি (Lateral Dune):”

Leave a Reply